ইরানের তেল বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি ভারতীয় কো ম্পা নি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী একজন ভারতীয় নাগরিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিস (ওএফএসি) জানিয়েছে, এই কো ম্পা নিগুলো ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’-এর মাধ্যমে তেল পরিবহনে সহায়তা করছে, যা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল বিক্রির একটি কৌশল। এই ঘটনা ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক শুল্ক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নতুন জটিলতা যোগ করেছে।

নিষেধাজ্ঞার কেন্দ্রে রয়েছেন জুগবিন্দর সিং ব্রার, যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং ভারত-ভিত্তিক গ্লোবাল ট্যাঙ্কার্স প্রাইভেট লিমিটেড ও বিএন্ডপি সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ন্ত্রণ করেন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের মতে, ব্রারের প্রায় ৩০টি জাহাজ ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত, যা জাহাজ থেকে জাহাজে (এসটিএস) স্থানান্তরের মাধ্যমে ইরাক, ইরান, ওমান উপসাগর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলসীমায় পরিচালিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় তেলের উৎস গোপন করতে শিপিং নথিতে হেরফের করা হয়, যাতে এটি আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে পারে। ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেস্যান্ট বলেন, “ইরান এই ধরনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তেল বিক্রি করে অস্থিতিশীল কার্যক্রমের অর্থায়ন করে।” এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানের উপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির অংশ।

এই পদক্ষেপ ভারতের জন্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। ভারত ইতিপূর্বে ইরানের তেল আমদানি বন্ধ করলেও, এই নিষেধাজ্ঞা দেশের শিপিং খাতের উপর নতুন চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যখন শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তবে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। এই ঘটনা ভারতকে তার শক্তি নীতি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।