Su-35: আলজেরিয়া ও ইরানের পর কেন বিশ্বের প্রথম পছন্দ এই যুদ্ধবিমান?

Su-35: আলজেরিয়া ও ইরানের পর কেন বিশ্বের প্রথম পছন্দ এই যুদ্ধবিমান?

রাশিয়ার সুখোই Su-35 যুদ্ধবিমান বিশ্বের প্রতিরক্ষা বাজারে ঝড় তুলছে। সম্প্রতি আলজেরিয়া এই অত্যাধুনিক বিমানের প্রথম চালান গ্রহণ করেছে, যা পূর্বে মিশরের জন্য নির্মিত হলেও পশ্চিমা চাপে তাদের হাতছাড়া হয়। এদিকে, ইরানও Su-35 ক্রয়ের পথে এগিয়ে, ইতোমধ্যে দুটি বিমান হামাদান ঘাঁটিতে মোতায়েন করেছে। এই বিমানের উন্নত প্রযুক্তি ও কৌশলগত গুরুত্ব এটিকে বিশ্বের অনেক দেশের বিমান বাহিনীর শীর্ষ পছন্দ করে তুলেছে।

Su-35, একটি ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, থ্রাস্ট-ভেক্টরিং ইঞ্জিন, দীর্ঘ পরিসরের রাডার এবং উন্নত এভিওনিক্স সিস্টেমের জন্য বিখ্যাত। এটি আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি—উভয় মিশনে অত্যন্ত কার্যকর। আলজেরিয়ার ওম এল বৌঘি ঘাঁটিতে ১০ মার্চ থেকে এই বিমানের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে, যা রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির দীর্ঘদিনের সামরিক সম্পর্কের প্রতিফলন। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক আরিফ হোসেন বলেন, “Su-35-এর সাশ্রয়ী মূল্য এবং পশ্চিমা নির্ভরতা এড়ানোর সুযোগ এটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।” আলজেরিয়ার চুক্তিতে সম্ভাব্য ২৪টি বিমানের কথা বলা হলেও, আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও অনুপস্থিত।

ইরানের ক্ষেত্রে, পুরনো F-14 টমক্যাটের বিকল্প হিসেবে Su-35 অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে ২৪টি বিমানের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, যা তেহরানের বিমান বাহিনীকে আধুনিকীকরণের পথে নিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা রপ্তানি কৌশলের অংশ হিসেবে Su-35 এখন কেবল অস্ত্র নয়, বরং কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রতীক। বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা প্রমাণ করে, পশ্চিমা বিকল্পের তুলনায় এই বিমান কার্যক্ষমতা ও অর্থনৈতিক সুবিধায় এগিয়ে। আগামী দিনে আরও দেশ এই তালিকায় যোগ দেবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *