ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল: বাংলাদেশের বাণিজ্যে প্রভাব, ভারতের কী লাভ-ক্ষতি?

৮ এপ্রিল ভারত বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে, যা ২০২০ সালে চালু হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির খরচ বাড়বে, যা দেশটির মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩%। ভারতের বিমানবন্দর ও বন্দরে ভিড় কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “এটি আমাদের রপ্তানিতে বিলম্ব ও খরচ বাড়াচ্ছিল।” তবে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানি অপ্রভাবিত থাকবে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এই সিদ্ধান্তকে ‘আকস্মিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়বে না, তবে খরচ বাড়বে।” বিশেষজ্ঞ ড. সেলিম রেহান মনে করেন, এটি বাংলাদেশের সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করবে। তিনি বিকল্প হিসেবে বন্দর সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক শিপিংয়ে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন, যদিও এতে সময় ও অর্থের প্রয়োজন। ভারতের জন্য এটি বন্দরের দক্ষতা বাড়ালেও, ২০২৩-২৪ সালে ১৪ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে সহযোগিতার ঘাটতি সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে, মার্কিন শুল্ক নীতির প্রেক্ষাপটে উভয় দেশের রপ্তানিকারকদের উদ্বেগ বাড়ছে।