এইচএমপি ভাইরাস: ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে, সতর্কতার আহ্বান

হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপি) ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা করোনার স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি নতুন কেস শনাক্ত হয়েছে, যা দেশব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত এই ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, সাধারণ সর্দি, জ্বর, কাশি থেকে শুরু করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে.পি. নাড্ডা বলেন, “এটি নতুন ভাইরাস নয়, তবে সতর্কতা জরুরি।”
এইচএমপি কোভিড-১৯ থেকে আলাদা, কারণ এটি সাধারণত হালকা উপসর্গ সৃষ্টি করে এবং দ্রুত ছড়ায়। তবে, কোনো নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল না থাকায় চিকিৎসা চ্যালেঞ্জিং। ভাইরাসটি শ্বাসযন্ত্রের ফোঁটা, স্পর্শ বা দূষিত পৃষ্ঠের মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীত ও বসন্তে এর প্রকোপ বাড়ে। ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (আইসিএমআর) নজরদারি জোরদার করেছে, কিন্তু কেস বৃদ্ধি রোধে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য বিভাগ মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। ডা. আবিদ আমিন ভাট বলেন, “সাধারণ সতর্কতাই এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে কার্যকর।” শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিশ্লেষকদের মতে, কোভিডের তুলনায় এইচএমপি কম মারাত্মক হলেও, সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ বাড়তে পারে।