ট্রাম্পের ভিসা নীতি: বিদেশী শিক্ষার্থীদের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনারত শতাধিক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর এফ-১ ভিসা হঠাৎ বাতিলের পর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, মেরিল্যান্ড ও ওহিও স্টেটের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, কোনো স্পষ্ট কারণ বা প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের আইনি মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ ট্রাফিক লঙ্ঘনের মতো ছোট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক বা নির্বাসনের মুখে। এসিএলইউ-এর আইনজীবী সারা জোন্স বলেন, “এটি অভিবাসন নীতির অপব্যবহার, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।”
নিউ হ্যাম্পশায়ার ও ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলা দায়েরের পর ডার্টমাউথের শিক্ষার্থী জিয়াওতিয়ান লিউর ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ নীরব থাকলেও, প্রশাসন এটিকে কঠোর অভিবাসন নজরদারির অংশ বলে দাবি করেছে। মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের মিশেল মিটেলস্টেট মন্তব্য করেন, “এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের শুধু নয়, মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করবে।” বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানিয়েছে, সরকার নোটিশ ছাড়াই ভিসা বাতিল করছে, যা প্রশাসনিক ত্রুটির ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ কমাবে, যা অর্থনীতি ও গবেষণায় প্রভাব ফেলবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় এখন এই শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আদালত কঠোর নীতি বহাল রাখে নাকি শিক্ষার্থীদের পক্ষে রায় দেয়, তা আন্তর্জাতিক শিক্ষা নীতিতে মাইলফলক হবে।