পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে তিনজনের মৃত্যু ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর রাজ্যে উত্তেজনা চরমে। এই সহিংসতার জেরে অনেক হিন্দু পরিবার এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলে পুলিশ-প্রশাসন তাঁর সফরে বাধা দেয়, যা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

আইটিভি নেটওয়ার্কের এক সমীক্ষায় ৬৪% উত্তরদাতা মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ভয়ে রাজ্যপালের সফরে বাধা দিয়েছেন। ৩২% তোষণের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন। ৬৩% মানুষ মমতার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন, এবং ৬৬% হিন্দু নারীদের অবস্থাকে খারাপ বা খুব খারাপ বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিএসএফ-এর ষড়যন্ত্রে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে।” তবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রতিফলন। ২০০ জন গ্রেপ্তার হলেও, সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষা জোরদার করা জরুরি। সমীক্ষার ফলাফল মমতার জনপ্রিয়তায় ধসের ইঙ্গিত দেয়, যা আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।