শাশুড়ি-জামাইয়ের প্রেম: সামাজিক ঝড়ের মুখে ‘Happy Ending’

শাশুড়ি-জামাইয়ের প্রেম: সামাজিক ঝড়ের মুখে ‘Happy Ending’

উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে স্বপ্না ও রাহুলের প্রেমের গল্প সামাজিক কাঠামোকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মাদ্রাক থানা এলাকায় স্বপ্না, যিনি তার মেয়ে অনিতার বাগদত্তা রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন, দুদিনের কাউন্সেলিং ব্যর্থ হওয়ার পর রাহুলের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বপ্না বলেন, “আমি শুধু রাহুলের সঙ্গে থাকব, আমার সন্তান বা স্বামীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।” এই ঘটনা স্থানীয় সমাজে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

৬ এপ্রিল বাড়ি থেকে পালানোর পর পুলিশের চাপে ১৬ এপ্রিল ফিরলেও স্বপ্না আলাদা হতে অস্বীকার করেন। মেয়ে অনিতা থানায় মাকে তিরস্কার করলেও কোনো ফল হয়নি। স্বপ্নার স্বামী জিতেন্দ্র অভিযোগ করেন, স্বপ্না ৩ লক্ষ টাকা নগদ ও ৫ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়েছেন। মাদ্রাক থানার ইনচার্জ অরবিন্দ কুমার জানান, “অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।” রাহুলের বাবা ওমবীর ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, বলেন, “সমাজে আমার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে।”

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ঘটনা ব্যক্তিগত পছন্দ ও সামাজিক প্রথার দ্বন্দ্বকে তুলে ধরেছে। স্বপ্না-রাহুল এখন কোর্ট ম্যারেজের পরিকল্পনা করছেন, যা সমাজে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *