চীন সম্প্রতি একটি অ-পারমাণবিক হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে, যা যুদ্ধ প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। মাত্র ২ কেজি ওজনের এই বোমা, ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড ব্যবহার করে ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রার আগুনের গোলা তৈরি করে, যা টিএনটি বিস্ফোরণের তুলনায় ১৫ গুণ দীর্ঘস্থায়ী। এটি পারমাণবিক বিক্রিয়া ছাড়াই প্রচণ্ড ধ্বংসক্ষমতা প্রদান করে, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ছাড়ায় এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে না। চীনের এই অগ্রগতি ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

চীনের ৭০৫ রিসার্চ ইনস্টিটিউট দ্বারা উন্নত এই বোমা কৌশলগত সুবিধা প্রদান করে। “এটি বিস্তৃত এলাকায় অভিন্ন ধ্বংস নিশ্চিত করতে পারে,” বলছে চীনা গবেষকদের প্রতিবেদন। এর ছোট আকার এবং পরিষ্কার শক্তি এটিকে সীমান্তে দ্রুত আক্রমণের জন্য আদর্শ করে। ভারত, যার সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে, এই অস্ত্রের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে। চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সহ আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলের পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।‽web:1 ২৪

ভারতের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে অ-পারমাণবিক প্রযুক্তি ও সাইবার যুদ্ধের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এই প্রযুক্তি অন্য দেশের হাতে পড়লে বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে। ভারতকে এখন কৌশলগত প্রতিরোধ বাড়াতে হবে।