লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালস লখনউ সুপার জায়ান্টসকে আট উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মুকেশ কুমারের চার উইকেট এবং কেএল রাহুলের অপরাজিত অর্ধশতরান দিল্লিকে ১৩ বল বাকি থাকতে জয় এনে দিয়েছে।

মুকেশ ৪/৩৩-এর দুর্দান্ত বোলিংয়ে লখনউকে ১৫৯/৬-এ আটকে দেন। অন্যদিকে, রাহুল ৪২ বলে অপরাজিত ৫৭ (তিনটি চার, তিনটি ছক্কা) রান করেন। প্রিন্স যাদবের বলে বিজয়ী ছক্কা মেরে রাহুল জয় নিশ্চিত করেন। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে প্রথমবার খেলতে নেমে রাহুল বলেন, “এটা বিশেষ ছিল, তবে আমার ফোকাস ছিল জয়ের দিকে।” দিল্লির ওপেনার অভিষেক পোরেল ৩৬ বলে ৫১ রান করে দারুণ শুরু এনে দেন। এরপর রাহুল ও অক্ষর প্যাটেল ৩৬ বলে অটুট ৫৬ রানের জুটি গড়েন। লখনউয়ের স্পিনারদের বিরুদ্ধে রাহুল ও পোরেল বিচক্ষণভাবে খেলে তাদের কোনো ছন্দ গড়তে দেননি।

লখনউ শুরুতে এইডেন মার্করাম (৩৩ বলে ৫২) ও মিচেল মার্শের ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে ৫১/০ তুলে দাপট দেখায়। কিন্তু মাঝের ওভারে নিয়মিত উইকেট পড়ায় তাদের গতি কমে যায়। দুষ্মন্ত চামিরার বলে মার্করাম অফ সাইডে বড় শট খেলতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন। মিচেল স্টার্ক ধীর গতির বাউন্সারে নিকোলাস পুরানকে (স্টার্কের বিরুদ্ধে টি২০-তে গড় ২.৪) বোল্ড করেন। মুকেশ আবদুল সামাদ (২) ও ঋষভ পন্থকে (০) আউট করে লখনউকে ১৪ ওভারে ১১০/৪-এ নামিয়ে আনেন। পন্থের দেরিতে ব্যাটিংয়ে নামা অবাক করেছে। তিনি মুকেশের বলে রিভার্স-র‍্যাম্প খেলতে গিয়ে বোল্ড হন।

লখনউয়ের কোচ বলেন, “আমরা কৌশলে পরিবর্তন এনেছিলাম, কিন্তু তা কাজ করেনি।” দিল্লির এই জয় তাদের কৌশলগত দক্ষতা প্রমাণ করে, তবে লখনউকে ব্যাটিং কৌশল নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।