জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের বাইসারান উপত্যকায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ বছরের নৌবাহিনী লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়াল শহীদ হয়েছেন। বিয়ের মাত্র ছয় দিন পর মধুচন্দ্রিমায় এসে তিনি সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান। তাঁর স্ত্রী বারবার বলছেন, “নতুন জীবন শুরুর ছুটি ছিল… কে জানত, এটাই তাঁর শেষ যাত্রা হবে?” এই হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত, কয়েক ডজন আহত।

১৬ এপ্রিল হরিয়ানার ঝাজ্জরে বিয়ের পর কোচি থেকে ছুটিতে আসা বিনয় কাশ্মীরের সৌন্দর্যে মধুচন্দ্রিমা উদযাপন করতে এসেছিলেন। কিন্তু টিআরএফ-এর হামলায় তাঁর স্বপ্ন ভেঙে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ লেখেন, “এই জঘন্য হামলা মানবতাবিরোধী। সন্ত্রাসীদের ছাড়া হবে না।” মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, “নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা।” হামলায় মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, দিল্লি, পাঞ্জাবের পর্যটকরাও নিহত হয়েছেন।

বিনয়ের স্ত্রীর আক্ষেপ, “মা বলতেন, কাশ্মীর সবচেয়ে সুন্দর… কিন্তু মৃত্যু আমার জীবন কেড়ে নিল,” সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই শাহাদাত জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অমরনাথ যাত্রার আগে এই হামলা কাশ্মীরের শান্তি ও পর্যটনে প্রভাব ফেলবে। বিনয়ের বলিদান জাতির সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে।