কানপুর: মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় কানপুরের শ্যামনগরের বাসিন্দা শুভম দ্বিবেদীর জীবন কেড়ে নিয়েছে। মাত্র দুই মাস আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি, বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ৩০ বছর বয়সী শুভম তাঁর স্ত্রী ঐশান্যার সঙ্গে ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ নামে খ্যাত বৈসরণে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করে এবং তারপর গুলি চালায়। এই হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়, কিন্তু শুভমের মৃত্যু তাঁর পরিবারকে গভীর শোকে ডুবিয়েছে।

শুভমের পিতা ডা. সঞ্জয় দ্বিবেদী, মা সীমা, বোন আরতি এবং তাঁর দুই সন্তান অনন্তনাগে থেকে গিয়েছিলেন, যখন শুভম ও ঐশান্যা দুপুর ১টার দিকে পহেলগামে ঘোড়ায় চড়তে যান। শুভমের কাকা জ্যোতিষাচার্য মনোজ দ্বিবেদী জানান, “প্রায় ২:১৫ নাগাদ, সেনার পোশাক পরা ২-৩ জন সন্ত্রাসী অন্ধভাবে গুলি চালাতে শুরু করে। একটি গুলি শুভমের কপালে লাগে, আর তিনি পড়ে যান। ঐশান্যা ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যান।” সেনা ও পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাঁদের কাশ্মীরের হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু শুভমকে বাঁচানো যায়নি। ঐশান্যার চিকিৎসা চলছে।

সন্ধ্যা ৬:৩০ নাগাদ শুভমের পিতা এই বিপর্যয়ের খবর পান। পুলিশের সহায়তায় শুভমের পরিচয় নিশ্চিত হয়, এবং পরিবারের কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্য হৃদয়বিদারক। শুভম একটি সিমেন্ট কো ম্পা নিতে সেলস প্রোমোটার হিসেবে কাজ করতেন এবং ২৩ এপ্রিল পরিবারের সঙ্গে ফিরে আসার কথা ছিল। তাঁর চন্দনপুর চক্কি, মহারাজপুরের বাড়িতে শোক প্রকাশকারীদের ভিড় জমেছে।

এই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকার সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। শুভমের গল্প কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী চ্যালেঞ্জ এবং পরিবারগুলির উপর এর গভীর প্রভাবকে তুলে ধরে।