ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড: ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা তাঁর দলকে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে দেখেছেন, কিন্তু অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে মাথিয়াস নুনেসের ৯৪তম মিনিটের গোল তাঁর উৎসাহকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। জেরেমি ডোকুর ক্রসে নুনেস গোল করে সিটিকে ২-১ গোলে গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেন। এই জয় সিটিকে পরবর্তী মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে শীর্ষ পাঁচে রাখে। গার্দিওলা দুই মুষ্টি বন্ধ করে, চিৎকার করে এবং মাঠের ধারে দৌড়ে তাঁর আনন্দ প্রকাশ করেন।

এই জয়ের গুরুত্ব গার্দিওলা ভালোভাবে বুঝিয়েছেন। তিনি বলেন, “অ্যাস্টন ভিলার মতো দুর্দান্ত দলের বিরুদ্ধে এই জয় সহজ ছিল না। আমরা শেষ চার ম্যাচে আছি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ালিফিকেশনের দাবিদার।” এই মরসুমে সিটি চোটের সমস্যায় জর্জরিত, যার কারণে নুনেসকে জরুরি রাইট-ব্যাক এবং ২০ বছর বয়সী নিকো ও’রাইলিকে লেফট-ব্যাক হিসেবে খেলানো হয়। তারকা খেলোয়াড় যেমন আর্লিং হালান্ড এবং রড্রি স্ট্যান্ডে ছিলেন, আর ফিল ফোডেন ফর্মে না থাকায় বেঞ্চে রাখা হয়। গার্দিওলা বলেন, “মরসুমের শুরুতে যদি কেউ বলত যে আমরা নুনেস এবং নিকোর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য লড়ব, আমি অবাক হতাম।”

অ্যাস্টন ভিলার জন্য এই হার ছিল তীব্র আঘাত। একটি জয় তাদের টেবিলে চতুর্থ স্থানে নিয়ে যেতে পারত, কিন্তু এখন তারা সপ্তম স্থানে। ভিলার কোচ উনাই এমেরি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এই হার আমাদের মেনে নিতে হবে। এখন আমাদের মনোযোগ শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে এফএ কাপ সেমিফাইনালে।” সিটি টেবিলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এবং পরবর্তী চার ম্যাচে ওলভারহ্যাম্পটন, সাউদাম্পটন, বোর্নমাউথ এবং ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে পয়েন্ট সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে।

এই মরসুম সিটির জন্য উত্থান-পতনের ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক জয়গুলি তাদের লড়াইয়ের মনোভাব জাগিয়েছে। গার্দিওলা বোর্নমাউথের বিরুদ্ধে জয়কে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, এমেরির জন্য এফএ কাপ এখন ১৯৫৭ সালের পর ভিলার প্রথম বড় শিরোপা জয়ের সুযোগ।