ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: বান্দিপোরায় সংঘর্ষ, শুরু গুলিবর্ষণ

শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে এলাকায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। কুলনার বাজিপুরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুরু হওয়া তল্লাশি অভিযানটি সংঘর্ষে পরিণত হয় যখন লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা কর্মীদের উপর গুলি চালায়। “আমাদের প্রতিক্রিয়া দ্রুত এবং কার্যকর ছিল। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি,” একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এই হামলার কারণে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে এবং আত্তারি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডঃ অজয় সাহনি বলেন, “পাকিস্তান-স্পন্সরিত সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি। ভারতের কঠোর অবস্থান জরুরি।” বান্দিপোরা সংঘর্ষ এবং নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিবর্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উত্তেজনা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী শীঘ্রই শ্রীনগর এবং উধমপুরে পৌঁছাবেন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। তিনি ঊর্ধ্বতন সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন এবং পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়ার জন্য একটি কৌশল তৈরি করবেন। পহেলগাম হামলার পর শ্রীগঙ্গানগর এবং নৈনিতালের মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উধমপুরে সাম্প্রতিক এক সংঘর্ষে একজন সৈনিকের শহীদ হওয়ার ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলি ছিল তা তুলে ধরে। এই ত্রৈমাসিক আয় খাতভিত্তিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।