ভারতীয় বিমান বাহিনীর ‘আগমন’ মহড়া: রাফালে-সুখোইয়ের শক্তিতে আতঙ্কিত পাকিস্তান

পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর আক্রমণাত্মক প্রস্তুতি পাকিস্তানকে অস্থির করে তুলেছে। বিমান বাহিনী সেন্ট্রাল সেক্টরে ‘আকমান’ নামে একটি মহড়া পরিচালনা করে, যেখানে রাফালে এবং সুখোই-৩০ এর মতো অত্যাধুনিক বিমান অংশ নেয়। গত ৪৮ ঘন্টা ধরে উচ্চ সতর্কতায় থাকা বিমান বাহিনী এই মহড়ায় শীর্ষস্থানীয় বন্দুক পাইলটদের মোতায়েন করেছে। বিমান বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এটি একটি নিয়মিত মহড়া, তবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি শক্তিশালী।”
আকাশ থেকে ভূমি আক্রমণের জন্য মহড়া
মহড়ার সময়, রাফালে জেটগুলি হাশিমারা এবং আম্বালা স্কোয়াড্রন থেকে উড়েছিল, যখন সুখোই-30, মিরাজ এবং এস-4 বিমানগুলি বিভিন্ন বিমানঘাঁটি থেকে একযোগে মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। এই সময়, একটি আকাশ থেকে ভূমি আক্রমণ মহড়া পরিচালিত হয়েছিল, যা দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল। ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান রাফালে শত্রুর বাঙ্কার, ট্যাঙ্ক এবং লুকানো আস্তানা লক্ষ্য করতে সক্ষম। ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলিও ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন রয়েছে, যে কোনও হুমকির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।
সময় এবং কৌশলের গুরুত্ব
বিমান বাহিনী সূত্রের খবর, এই মহড়া পূর্বপরিকল্পিত ছিল, কিন্তু পহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অজয় শর্মা বলেন, “এই ধরনের মহড়া অল্প সময়ের মধ্যে পাইলটদের বড় অভিযানের জন্য প্রস্তুত করে। এর সময় এই বার্তা দেয় যে ভারত প্রতিটি মুহূর্তে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত।” এই মহড়া কেবল প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রদর্শনই নয় বরং কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের শক্তিশালী অবস্থানকেও প্রতিফলিত করে।