জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা, অটারি চেকপোস্ট বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড় প্রত্যাহার। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “এটি একটি খারাপ হামলা ছিল, তবে ভারত ও পাকিস্তান এটি সমাধান করবে।” তিনি কাশ্মীরে শতাব্দীপ্রাচীন উত্তেজনার কথা উল্লেখ করে দুই দেশের নেতাদের উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন।

ভারতের এই পদক্ষেপে পাকিস্তানে অস্থিরতা বেড়েছে। পাকিস্তান প্রতিশোধমূলকভাবে ওয়াঘা সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ করেছে এবং ভারতীয় সামরিক কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিন্ধু জল চুক্তির স্থগিতকরণ পাকিস্তানের কৃষি ও জ্বালানি চাহিদাকে প্রভাবিত করতে পারে, কারণ তারা পশ্চিমী নদীগুলির উপর ৮০% নির্ভরশীল। ভারত এই স্থগিতকরণকে আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে ন্যায্য বলে দাবি করেছে, উল্লেখ করে যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ-সমর্থক নীতি চুক্তির মর্মের বিরোধী।

ট্রাম্পের মন্তব্য বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তবে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সমাধান সহজ নয়। ইরান মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে, যদিও বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে চুক্তি স্থগিতের কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি তারা পায়নি। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে এই উত্তেজনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। বর্তমানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে, এবং ভবিষ্যৎ পথ অনিশ্চিত রয়েছে।