হাইপারসোনিক মিসাইলে ভারতের বড় সাফল্য, স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন পরীক্ষা সম্পন্ন

পহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। হায়দ্রাবাদের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন পরীক্ষাগার (DRDL) হাইপারসোনিক মিসাইলের জন্য স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের ১০০০ সেকেন্ডের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই পরীক্ষা জানুয়ারি ২০২৫-এ ১২০ সেকেন্ডের প্রাথমিক পরীক্ষার ধারাবাহিকতা। এর ফলে সিস্টেমটি শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ ফ্লাইট-যোগ্য কম্বাস্টর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হবে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অজয় মেহতা বলেন, “এই সাফল্য ভারতকে হাইপারসোনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলির সমকক্ষ করে তুলেছে।”
হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল এমন এক অস্ত্র, যা শব্দের গতির পাঁচ গুণ বেশি (৬১০০ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে এবং এয়ার-ব্রিদিং ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। এই পরীক্ষা স্ক্র্যামজেট কম্বাস্টরের ডিজাইন এবং পরীক্ষা সুবিধার বৈধতা প্রমাণ করেছে। DRDO, শিল্প ও শিক্ষা জগতের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই অর্জন ভারতের হাইপারসোনিক মিসাইল উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং DRDO, শিল্প অংশীদার ও শিক্ষাবিদদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এটি হাইপারসোনিক অস্ত্র প্রযুক্তির প্রতি সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
এই সাফল্য পহেলগাম হামলার পর ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলকে আরও শক্তিশালী করবে। DRDO-র চেয়ারম্যান ড. সমীর ভি. কামত এবং DRDL-এর পরিচালক ড. জি.এ. শ্রীনিবাস মূর্তির নেতৃত্বে দলটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সুপারসনিক কম্বাস্টরের দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই প্রযুক্তি ভারতের কৌশলগত প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, বিশেষত পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায়। এই অর্জন ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা উদ্যোগের একটি উজ্জ্বল মাইলফলক।