বিলাওয়ালের হুঙ্কার: সিন্ধুতে জল বইবে নাহলে রক্ত , ভারতের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত সহ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যা পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো সুক্কুরে সিন্ধু নদীর তীরে জনসভায় বলেন, “সিন্ধু আমাদের, থাকবেও আমাদের। এই নদীতে হয় জল বইবে, নয়তো ভারতীয়দের রক্ত!” তিনি ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ইস্যু তুলে প্রতিবাদের হুমকি দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও জলরোধকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে গণ্য করার কথা বলেছেন।
ভারতের এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও উত্তপ্ত। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির ফেব্রুয়ারিতে চোলিস্তান নহর প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন, যা সিন্ধু প্রদেশে বিতর্কের জন্ম দেয়। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পর শাহবাজ শরিফ বিলাওয়ালের সঙ্গে আলোচনার পর এই প্রকল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্লেষক আবদুল বাসিত বলেন, “সিন্ধু পাকিস্তানের কৃষি ও জলবিদ্যুতের জন্য প্রাণরেখা। জলরোধ পাকিস্তানের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করতে পারে।” পাকিস্তানের ৮০% কৃষি এই নদীর জলে নির্ভরশীল।
পহেলগাম হামলায় সন্ত্রাসীরা ধর্ম জিজ্ঞাসা করে পর্যটকদের গুলি করেছে, যা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে আরও তিক্ত করেছে। ভারত অটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও রাষ্ট্রদূতের সংখ্যা কমানোর মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। বিলাওয়ালের যুদ্ধের হুমকি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করছে। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি এতদিন যুদ্ধ ও উত্তেজনার মধ্যেও টিকে ছিল। এখন এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।