হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্টিভেন লোম ফিজিশিয়ানস কমিটির পডকাস্টে সতর্ক করে বলেছেন, ডিমের কুসুমে থাকা উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তিনি ডিমকে “কোলেস্টেরল বোমা” আখ্যা দিয়ে এটিকে আমেরিকান খাদ্যতালিকায় ডায়েটারি কোলেস্টেরলের প্রধান উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তরুণদের মধ্যে হৃদরোগ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তিনি প্রক্রিয়াজাত ও লাল মাংসের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। ডাঃ লোম বলেন, “এই খাবারগুলি এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে।”

তবে, ডিম নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কোলেস্টেরল সুস্থ কোষের জন্য প্রয়োজনীয়, কিন্তু অতিরিক্ত এলডিএল কোলেস্টেরল ক্ষতিকর। কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ডিম খেলে লিপিড মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে না। কিন্তু নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ ডিম খাওয়া এলডিএল-এইচডিএল অনুপাত বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এই সতর্কবার্তা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা সুষম খাদ্যতালিকা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ওপর জোর দিচ্ছেন। তবে, ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে ভিন্নমত থাকায় ভোক্তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এই বিতর্ক খাদ্যতালিকাগত সিদ্ধান্তে বিজ্ঞানভিত্তিক দিকনির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।