শরীফের ‘শান্তি’ আলোচনা, পহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের দ্বৈত নীতি উন্মোচিত

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ইরানের শহীদ রাজাই বন্দরে বিস্ফোরণের শোক প্রকাশ করতে রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানকে ফোন করলেও, কথোপকথন দ্রুত কাশ্মীর ইস্যুতে মোড় নেয়। শরীফ বলেন, “পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে ভারতের জলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য।” এই বক্তব্য পাকিস্তানের কূটনৈতিক দ্বৈত মান প্রকাশ করে, যখন পহেলগামে ২৬ জনের প্রাণহানির হামলায় তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত, ৭০০ জনের বেশি আহত। এই মানবিক সংকটের মধ্যেও শরীফ কাশ্মীর ও সিন্ধু জল চুক্তি তুলে ধরেন, যা বিশ্লেষকরা ‘সুযোগসন্ধানী রাজনীতি’ হিসেবে দেখছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু পাকিস্তানের ইতিহাস এ ধরনের প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
পাকিস্তানের এই কৌশল নতুন নয়। মানবিক ট্র্যাজেডিকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারে ইসলামাবাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পহেলগাম হামলার পর ভারতের কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপ—সিন্ধু চুক্তি স্থগিত, সীমান্ত বন্ধ—পাকিস্তানকে চাপে ফেললেও, শরীফের বক্তব্য শান্তির পরিবর্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য নতুন হুমকি তৈরি করতে পারে।