ভারতের এই হাইটেক মিসাইল পাকিস্তানকে পলকে ধ্বংস করতে সক্ষম, কোন প্রযুক্তিতে এটি তৈরি?

ভারতের এই হাইটেক মিসাইল পাকিস্তানকে পলকে ধ্বংস করতে সক্ষম, কোন প্রযুক্তিতে এটি তৈরি?

গত কয়েক বছরে ভারত তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে গেছে, যার মধ্যে মিসাইল শক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিআইবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ সালের জন্য ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১,৪৮,৭২২.৮০ কোটি টাকা অস্ত্র ও মিসাইল ক্রয়ের জন্য। পৃথ্বী, অগ্নি এবং শৌর্যের মতো মিসাইলগুলি কেবল কাছাকাছি হুমকির তাৎক্ষণিক জবাব দেয় না, বরং হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুও ভেদ করতে পারে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ড. অনিল শর্মা বলেন, “ভারতের মিসাইল শক্তি এখন শত্রুদের বারবার ভাবতে বাধ্য করে।”

পৃথ্বী-১ এবং ২ (১৫০-৩৫০ কিমি রেঞ্জ) মতো শর্ট-রেঞ্জ মিসাইলগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত ও নির্ভুল আক্রমণের জন্য তৈরি। শৌর্য, একটি হাইপারসনিক নিউক্লিয়ার মিসাইল, ৭০০ কিমি রেঞ্জে অব্যর্থ নিশানা স্থির করে। এছাড়া, আকাশ এবং কিউআরএসএএম-এর মতো জমিন থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইলগুলি শত্রুপক্ষের বিমান ও ড্রোনকে আকাশেই ধ্বংস করতে পারে। দূরপাল্লার অগ্নি-৫ (৫,৫০০+ কিমি) এবং ক্রুজ মিসাইলগুলি, যা নিউক্লিয়ার পেলোড বহন করতে সক্ষম, ভারতকে কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্ব দেয়। এতে মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকলস (এমআইআরভি)-এর মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।

ভারতের মিসাইল শক্তি শুধু জমিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কে-১৫ এবং কে-৪-এর মতো সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলি সমুদ্র থেকে নিউক্লিয়ার আক্রমণের ক্ষমতা প্রদান করে। নাগ এবং হেলিনার মতো অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলগুলি শত্রুর সাঁজোয়া যান ধ্বংসে পারদর্শী। “এই মিসাইলগুলি ভারতের প্রতিরক্ষাকে অজেয় করে,” বলেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রজত মেহরা। পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশীদের জন্য ভারতের এই প্রযুক্তিগত শক্তি একটি সতর্কবার্তা, যা যেকোনো আগ্রাসনকে পলকে জবাব দিতে সক্ষম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *