শ্রীনগর: জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০,০০০ হোটেল কক্ষ খালি হয়ে গেছে, এবং উধমপুর ও রামবানের হিল স্টেশনগুলো পর্যটকশূন্য। স্থানীয় হোটেল মালিক রাজেশ ঠাকুর বলেন, “পটনিটপের রাস্তা ও হোটেলগুলো ফাঁকা। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছি, ফিরে আসুন।” পর্যটন সংকট কাশ্মীরের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা।

গত কয়েক বছরে সরকারের প্রচেষ্টায় কাশ্মীরে শান্তি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ফিরছিল। ২০২৪ সালে ৩৫ লাখের বেশি পর্যটক কাশ্মীরে এসেছিলেন। কিন্তু পাহলগামের হামলা পর্যটন শিল্পের উপর গভীর ছায়া ফেলেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, যেমন ঘোড়ার গাড়ি চালক ও ট্যাক্সি মালিকরা, জীবিকার সংকটে পড়েছেন। পটনিটপের একজন শিকারা চালক নৌশাদ বলেন, “এই হামলা আমাদের জীবন ধ্বংস করেছে। পর্যটকরা না এলে আমাদের চলবে কীভাবে?”

হোটেল মালিক ও স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে তৎপ সম্পর্কিত খবর: স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। রাজেশ ঠাকুর জানান, “পটনিটপে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিত গশত করছে। আমরা সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” তবে পর্যটন সংকট কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে, যদি নিরাপত্তার বিষয়ে আস্থা ফিরিয়ে আনা না যায়।