নয়া দিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ধর্ম জেনে হত্যার এই ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন। এর মধ্যেই টেলিভিশন তারকা শোয়েব ইব্রাহিম ও দীপিকা কক্কর ট্রোলিংয়ের শিকার। হামলার দিন কাশ্মীর থেকে ফিরে শোয়েব ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আমরা নিরাপদ, শীঘ্রই নতুন ভ্লগ আসছে।” এই পোস্টকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে ট্রোলাররা তাঁদের আক্রমণ করে। একটি নতুন ভ্লগে শোয়েব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি আর দীপিকাই কেন টার্গেট? অন্যরাও তো ভ্লগ দিচ্ছে!” পর্যটন সংকটের এই সময়ে তাঁদের এই ঘটনা মানবতার প্রতি প্রশ্ন তুলেছে।

শোয়েব তাঁর ভ্লগে হামলার নিন্দা করে বলেন, “যখনই কোনও সন্ত্রাসী হামলা হয়, মানবতার সঙ্গে আমার মতো মুসলিমদেরও মাথা নত হয়। যারা ধর্ম জেনে হত্যা করেছে, আমি তাদের মুসলিম বা মানুষও মানি না।” ট্রোলারদের ‘পাকিস্তান চলে যাও’ মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “কেন পাকিস্তান যাব? আমার পূর্বপুরুষরা এই মাটি বেছে নিয়েছেন। এই মাটিতেই সিজদা করি, এখানেই দাফন হব।” তিনি সরকারের কাছে কঠোর শাস্তির আবেদন জানান, যেন সন্ত্রাসীদের “আত্মা কেঁপে ওঠে।” তাঁর এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ট্রোলিংয়ের বিষয়ে শোয়েব প্রশ্ন তোলেন, “অন্য ভ্লগাররা কনটেন্ট দিচ্ছেন, সিনেমার প্রচার চলছে, তাহলে আমরাই কেন টার্গেট?” তিনি জানান, হামলার খবর তাঁরা দিল্লি পৌঁছানোর পর জেনেছেন এবং পোস্টটি মুছে ফেলতে ভুলে গিয়েছিলেন। ৩৫.৬ লাখ সাবস্ক্রাইবারের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব-দীপিকার জীবনের ঝলক ভক্তদের কাছে জনপ্রিয়। তবে এই ঘটনা প্রমাণ করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবেদনশীলতার প্রয়োজন। পর্যটন সংকটের মধ্যেও শোয়েবের দেশপ্রেম ও মানবতার বার্তা অনুপ্রেরণা জাগায়।