আমরনাথ গুহার প্রথম আবিষ্কার, বাবা বরফানির রহস্য উন্মোচন

হিন্দু ধর্মে আমরনাথ যাত্রা অত্যন্ত পুণ্যদায়ী হিসেবে বিবেচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, বাবা বরফানির দর্শন হাজার গুণ পুণ্য অর্জন করে এবং সকল মনোকামনা পূরণ করে। এই কঠিন যাত্রা সত্ত্বেও প্রতি বছর লাখো ভক্ত আমরনাথ গুহায় শিবলিঙ্গের দর্শনের জন্য ছুটে আসেন। কিন্তু এই পবিত্র গুহা প্রথম কে আবিষ্কার করেছিলেন? ধার্মিক বিশ্বাস অনুযায়ী, মহর্ষি ভৃগু প্রথম এই গুহার দর্শন পান। কথিত আছে, কাশ্মীর উপত্যকা জলমগ্ন হলে মহর্ষি কশ্যপ জল নিষ্কাশন করেন। তখন তপস্যার জন্য নির্জন স্থান খুঁজতে গিয়ে ভৃগু আমরনাথ গুহায় পৌঁছান।
আমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের ওয়েবসাইট অনুসারে, ১৮৫০ সালে মুসলিম গডরিয়া বুটা মালিক এই গুহা পুনরাবিষ্কার করেন। একদিন ভেড়া চরাতে গিয়ে তিনি গুহার কাছে এক সাধুর সাক্ষাৎ পান, যিনি তাকে কয়লাভর্তি পাত্র দেন। পরে দেখা যায়, তা সোনায় ভরা। সাধুকে ধন্যবাদ জানাতে ফিরে গিয়ে বুটা গুহায় বরফের শিবলিঙ্গ দেখেন। এই শিবলিঙ্গ গুহার ছাদ থেকে ঝরা জলের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং চন্দ্রচক্রের সঙ্গে বাড়ে-কমে। এই বরফের শিবলিঙ্গের জন্যই এটি ‘বাবা বরফানি’ নামে পরিচিত। একজন ভক্ত বলেন, “এই দর্শন জীবনের সব দুঃখ দূর করে।”
আমরনাথ যাত্রা ২০২৫ শুরু হবে ২৫ জুলাই এবং শেষ হবে ১৯ আগস্ট। নিবন্ধন শুরু হয়েছে ১৪ এপ্রিল থেকে। গর্ভবতী মহিলা, ৭০ বছরের বেশি বয়সী এবং ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুরা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। এই যাত্রা শুধু ধর্মীয় নয়, বরং আধ্যাত্মিক শান্তি ও প্রকৃতির সান্নিধ্যের এক অনন্য অভিজ্ঞতা।