মহারাষ্ট্রের অবকাঠামো বিপ্লব, ২০২৮-এ বুলেট ট্রেন ও আইএমইসি প্রকল্পে নতুন দিগন্ত

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীস সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঘোষণা করেছেন, জাপানের সহযোগিতায় ১৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হাই-স্পিড রেল মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স থেকে আহমেদাবাদের সবরমতী পর্যন্ত যাত্রীদের ৩ ঘণ্টারও কম সময়ে পৌঁছে দেবে। ফডনবীস জানান, রাজ্য অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে, যার ঘোষণা আগামী চার মাসের মধ্যে আসবে। “এই প্রকল্প মহারাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গেম-চেঞ্জার হবে,” বলেন তিনি।
প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনায় ফডনবীস পূর্ববর্তী মহা বিকাশ আঘাদী সরকারের সময়কালে ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “দুই বছরের শাসনকালে প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কিন্তু এখন কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।” গুজরাটে প্রকল্পের ৫৩% কাজ সম্পন্ন হলেও মহারাষ্ট্রে এটি ২৫.৬%। তবে, নতুন সরকারের উদ্যোগে মহারাষ্ট্রে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, এবং ২০২৭ সালের শেষে গুজরাটের বডোদরা-বাপি অংশে ট্রায়াল শুরু হবে। ফডনবীস আশ্বাস দেন, “২০২৮-এ আমরা বুলেট ট্রেনে চড়ব।”
ফডনবীস ভাদবান বন্দর প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন, যা আগামী তিন-চার বছরে চালু হবে। এই বন্দর ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডরের (আইএমইসি) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, “নাসিক থেকে ভাদবান পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণ হচ্ছে, যা ১৭টি জেলাকে আধুনিক বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।” এছাড়া, নাগপুর-গোয়া সংযোগকারী শক্তিপীঠ মহাসড়ক পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
ভি আর এফ-এর আয়োজিত আইএমইসি সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে ফডনবীস বলেন, মুম্বই ও মহারাষ্ট্র এই অর্থনৈতিক করিডরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। “আমরা এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করব,” তিনি আশ্বাস দেন। এই প্রকল্পগুলো মহারাষ্ট্রকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের জিএসডিপি লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে, যা রাজ্যের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত রূপান্তরের প্রতীক।