মোদীর নেতৃত্বে শক্তিশালী পদক্ষেপ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় অ্যাকশনের ইঙ্গিত

দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গোটা ভারত ক্ষুব্ধ। দেশবাসী একযোগে পাকিস্তানের এই ন্যক্কারজনক কাণ্ডের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। এই ঘটনার পর থেকে দিল্লিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ধারাবাহিকতা চলছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন বাহিনীর প্রধান, এনএসএ অজিত ডোভাল, সিডিএস অনিল চৌহান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকের পাশাপাশি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটির বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। এক সরকারি সূত্র জানায়, “এই বৈঠকগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্তের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
পাহলগাম হামলার পর ভারতের আক্রমণাত্মক অবস্থানে পাকিস্তানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সেনাবাহিনীকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। মঙ্গলবার ৯০ মিনিটের বৈঠকে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়া আমাদের জাতীয় প্রতিজ্ঞা।” এর আগে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেন। এছাড়া, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে মোদীর বৈঠকও বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।
বুধবার মোদী ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস), ক্যাবিনেট কমিটি অন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স (সিসিপিএ) এবং ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (সিসিইএ)-এর বৈঠকে অংশ নেবেন। এরপর মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে ভবিষ্যৎ রণনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। সিসিএস-এর এটি হামলার পর দ্বিতীয় বৈঠক। ২৩ এপ্রিলের প্রথম বৈঠকে সিন্ধু জল চুক্তি, আটারি সীমান্ত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জাতিসংঘের সাতটি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “হামলার পেছনে দায়ী সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”
এই ঘটনাক্রম ভারতের বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাকিস্তানের হুমকি সত্ত্বেও ভারতের কঠোর অবস্থানে দেশটি কোণঠাসা। আগামী কয়েক ঘণ্টায় ভারতের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।