ক্রুড তেলের দামে হ্রাস এবং বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (FII) ধারাবাহিক বিনিয়োগের জেরে ভারতীয় রুপি আমেরিকান ডলারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য শক্তি প্রদর্শন করেছে। মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বাজারে রুপি ২৭ পয়সা শক্তিশালী হয়ে ৮৪.৯৬-এ বন্ধ হয়েছে। এই ঊর্ধ্বগতি ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতিফলন হলেও, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এবং ডলারের সামান্য উত্থান রুপির আরও বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করেছে।

মঙ্গলবার রুপি ৮৫.০৬-এ খোলার পর দিনভর ৮৪.৯৬-এর শীর্ষ এবং ৮৫.৪০-এর নিম্ন স্তরের মধ্যে ওঠানামা করে। সোমবার রুপি ১৮ পয়সা বেড়ে ৮৫.২৩-এ বন্ধ হয়েছিল। মিরায়ে অ্যাসেট শেয়ারখানের গবেষণা বিশ্লেষক অনুজ চৌধরী বলেন, “বাণিজ্য শুল্কের অনিশ্চয়তা এবং ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে রুপির ওপর চাপ থাকতে পারে।” তবে, FII-এর ২,৩৮৫.৬১ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় এবং দেশীয় শেয়ার বাজারের ইতিবাচক প্রবণতা রুপির শক্তির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ১.৬৪ শতাংশ কমে ৬৪.৭৮ ডলার প্রতি ব্যারেলে নেমেছে, যা রুপির জন্য সহায়ক হয়েছে। এছাড়া, বিএসই সেনসেক্স ৭০.০১ পয়েন্ট বেড়ে ৮০,২৮৮.৩৮-এ এবং নিফটি ৭.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ২৪,৩৩৫.৯৫-এ বন্ধ হয়েছে। সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজার্সের এমডি অমিত পাবারি বলেন, “বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সুর উঠেছে, যা রুপির স্থিতিশীলতায় সহায়ক।” ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক ০.১৬ শতাংশ বেড়ে ৯৯.১৭-এ পৌঁছেছে।

রুপির এই ঊর্ধ্বগতি ভারতীয় অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রকাশ করে। তবে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা রুপির ভবিষ্যৎ গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, FII-এর ধারাবাহিক বিনিয়োগ এবং শেয়ার বাজারের ইতিবাচক প্রবণতা রুপিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।