নতুন ইভি নীতি: ইলেকট্রিক যানে সবসিডি, টোল মুক্তির সুবিধায় ক্রেতাদের উচ্ছ্বাস

ভারতের ইলেকট্রিক যানের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য, তাদের নতুন ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) নীতি অনুমোদন করেছে। এই নীতির লক্ষ্য রাজ্যে ইলেকট্রিক যানের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্যাপক চার্জিং অবকাঠামো গড়ে রেঞ্জ-সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করা। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর বলেন, “২০২৫ মহারাষ্ট্র ইভি নীতি ইলেকট্রিক যান উৎপাদন ও চাহিদা বাড়াবে, এবং এটি ২০৩০ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।” রাজ্য সরকার এই নীতির জন্য ১,৯৯৩ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছে, যা ইভি ক্রেতাদের জন্য সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াতের পথ প্রশস্ত করবে।
নতুন নীতি অনুযায়ী, ইলেকট্রিক টু-হুইলার, থ্রি-হুইলার, ফোর-হুইলার, রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস, বেসরকারি বাস এবং পৌরসংস্থার পরিবহণে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। ইলেকট্রিক পণ্যবাহী ত্রি-চক্র ও চারচক্রযান এবং ইলেকট্রিক ট্র্যাক্টরে ১৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। “এই সবসিডি পরিষ্কার গতিশীলতার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ,” বলেন অটোমোটিভ বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা দেশাই। এছাড়া, ইভি নিবন্ধন ফি মকুব করা হয়েছে, এবং মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ে, অটল সেতু এবং সমৃদ্ধি মহামার্গে চারচক্রযান ও বাসের জন্য টোল ফ্রি করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্য ও জাতীয় মহাসড়কে টোল ৫০ শতাংশ কমানো হবে।
এই নীতি মহারাষ্ট্রে চার্জিং অবকাঠামোর সম্প্রসারণের উপর জোর দিয়েছে, যা ইভি গ্রহণের হার বাড়াবে। “টোল ছাড় এবং সবসিডি ক্রেতাদের জন্য ইভি কেনাকে আরও আকর্ষণীয় করবে,” বলেন মুম্বইয়ের ইভি ডিলার রাহুল পাটিল। গত বছর মহারাষ্ট্রে ১.২ লক্ষ ইভি বিক্রি হয়েছে, এবং নতুন নীতি এই সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছে। তবে, বিশ্লেষকরা মনে করেন, গ্রামীণ এলাকায় চার্জিং স্টেশনের অভাব এখনও একটি চ্যালেঞ্জ।
এই নীতি পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি ক্রেতাদের আর্থিক সুবিধা দেবে। মহারাষ্ট্রের নাগরিকরা এই সুযোগের জন্য উচ্ছ্বসিত। “আমি একটি ইলেকট্রিক স্কুটার কিনতে চাইছিলাম; এই সবসিডি আমার সিদ্ধান্তকে সহজ করেছে,” বলেন পুনের বাসিন্দা সুচিত্রা মহাজন। এই নীতি মহারাষ্ট্রকে ভারতের ইভি হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।