পাকিস্তানি শিশুর চিকিৎসার জন্য ভারতের হৃদয় ভিসা মেয়াদ বাড়াল আন্ধ্রপ্রদেশ

পাকিস্তানি শিশুর চিকিৎসার জন্য ভারতের হৃদয় ভিসা মেয়াদ বাড়াল আন্ধ্রপ্রদেশ

পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে তাঁদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এই আদেশের জেরে অটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিড় বাড়ে। তবে মানবিক কারণে আন্ধ্রপ্রদেশের এক পাকিস্তানি দম্পতি বিশেষ ছাড় পেয়েছেন। এই দম্পতি, যাঁদের মধ্যে স্বামী পাকিস্তানি এবং স্ত্রী বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা, তাঁদের ছেলের চিকিৎসার জন্য ভারতে রয়েছেন। “এই সিদ্ধান্ত মানবিকতার জয়,” বলেন স্থানীয় সমাজকর্মী রাহুল শর্মা।

বিশাখাপত্তনমের পুলিশ কমিশনার শঙ্খভদ্র বাগচী এই দম্পতির একটি আবেদনপত্র পান, যেখানে তাঁরা জানান, তাঁরা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনও অনুমোদন পাননি। বাগচী তৎক্ষণাৎ হায়দ্রাবাদের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুর চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের ভিসার মেয়াদ অস্থায়ীভাবে বাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। এই পরিবারে বাবা ও বড় ছেলে পাকিস্তানি নাগরিক, কিন্তু মা ও ছোট ছেলে ভারতীয়। আন্ধ্রপ্রদেশে ২১ জন পাকিস্তানি শনাক্ত হয়েছিলেন, যাঁদের অধিকাংশই স্বল্পমেয়াদী ভিসায় ছিলেন এবং তাঁদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৮৬ পাকিস্তানি অটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ফিরে গেছেন। একই সময়ে, ২৪ এপ্রিল থেকে ১,৪৬৫ ভারতীয়, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন কূটনীতিক ও কর্মকর্তা, পাকিস্তান থেকে ফিরেছেন। দীর্ঘমেয়াদী ভিসাধারী ১৫১ পাকিস্তানিও ভারতে এসেছেন। এই মানবিক পদক্ষেপ সত্ত্বেও, পাকিস্তানি চিকিৎসা ভিসার সংখ্যা ২০১৬-এর ১,৬৭৮ থেকে ২০২৪-এ ২২৫-এ নেমেছে, যা পহেলগাঁও হামলার পর চিকিৎসা পর্যটনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *