ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ভারতের সমুদ্র শক্তি বৃদ্ধি, আমেরিকার ১৩১ মিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তি

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত তার সমুদ্র শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বুধবার ভারতের জন্য ১৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ইন্ডো-প্যাসিফিক ম্যারিটাইম ডোমেন অ্যাওয়ারনেস (আইপিএমডিএ) এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। ভারত ইন্ডো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমশ তার ভূমিকা জোরদার করছে, এবং এই লক্ষ্যে সম্প্রতি আমেরিকার কাছ থেকে সিভিশন সফটওয়্যার কেনার অনুরোধ জানিয়েছে। এই প্রযুক্তি ভারতীয় নৌবাহিনীর সমুদ্র পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) কংগ্রেসকে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “এই বিক্রি মার্কিন-ভারতীয় কৌশলগত সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং ইন্ডো-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে ভারতের নিরাপত্তা জোরদার করবে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, সিভিশন সফটওয়্যার এবং এর প্রশিক্ষণ ভারতকে সমুদ্রে জাহাজের গতিবিধি, সন্দেহজনক কার্যকলাপ এবং সম্ভাব্য হুমকি দ্রুত সনাক্ত করতে সহায়তা করবে। প্রধান ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবে ভার্জিনিয়ার হার্নডন-ভিত্তিক হকআই ৩৬০ কো ম্পা নি।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে। কাশ্মীর সীমান্তের পাশাপাশি সমুদ্র সীমানাও উত্তপ্ত। উভয় দেশই তাদের নৌবাহিনীর মোতায়েন বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার এই প্রযুক্তি বিক্রি ভারতের জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দিতে পারে। “এই সফটওয়্যার ভারতীয় নৌবাহিনীকে ইন্ডো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আরও কার্যকরভাবে নজরদারি করতে সক্ষম করবে,” বলেন নৌ-বিশ্লেষক ক্যাপ্টেন রাহুল ভট। এই বিক্রি আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তন করবে না, তবে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার করবে।