বিশ্বকাপ আয়োজক দেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল ওডিআই মর্যাদা, ইসলামিক দেশের দলের প্রবেশ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০২৫-২০২৯ চক্রের জন্য ১৬টি নারী ক্রিকেট দলকে ওডিআই মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা করেছে, যা আগামী ১২ মে থেকে কার্যকর হবে। এই তালিকায় পাঁচটি সহযোগী সদস্য দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তবে একটি চমকপ্রদ পরিবর্তন দেখা গেছে। গত বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক আমেরিকার নারী দল তাদের ওডিআই মর্যাদা হারিয়েছে। অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) প্রথমবারের মতো এই মর্যাদা অর্জন করে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। ইউএই-এর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাম্প্রতিক সাফল্য এই অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছে।
নতুন তালিকায় ইউএই-এর পাশাপাশি থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ গিনি এবং স্কটল্যান্ড তাদের ওডিআই মর্যাদা ধরে রেখেছে। ইউএই টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ১৬তম স্থানে থেকে সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংপ্রাপ্ত সহযোগী দল হিসেবে এই মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে ইউএই দল ব্যাঙ্ককের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাইল্যান্ড, হংকং এবং কুয়েতের বিপক্ষে খেলছে। এদিকে, আমেরিকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলেও ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। থাইল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড সাম্প্রতিক নারী ওডিআই বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে অংশ নিয়ে তাদের মর্যাদা নিশ্চিত করেছে, যেখানে থাইল্যান্ড ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিল।
আমেরিকার নারী দল গত বছর অক্টোবরে তাদের প্রথম ওডিআই ম্যাচ খেলে। এখন পর্যন্ত তারা মোট আটটি ওডিআই ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে তিনটিতে জয় এবং পাঁচটিতে হার পেয়েছে। তাদের সব জয় এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী, ওডিআই মর্যাদা ধরে রাখতে দলগুলোকে তিন থেকে চার বছরে ন্যূনতম আটটি ওডিআই ম্যাচ খেলতে হয়। ইউএই-এর উত্থান এবং আমেরিকার মর্যাদা হারানো নারী ক্রিকেটের প্রতিযোগিতামূলক ল্যান্ডস্কেপে নতুন গতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।