লখনউ, ৩ মে ২০২৫: কেন্দ্রীয় সরকারের সাধারণ জনগণনার সঙ্গে জাতি জনগণনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কংগ্রেস এই দাবির কৃতিত্ব নিজেদের কাঁধে তুলতে চাইলেও, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) প্রধান মায়াবতী তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেসের ইতিহাসকে ‘কালো অধ্যায়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শনিবার তিনি বলেন, কংগ্রেস ভুলে গেছে যে দলিত ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণি (ওবিসি) সমাজের কোটি কোটি মানুষকে সংরক্ষণ সহ তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কালো ইতিহাস তাদের রয়েছে, যার ফলে তারা ক্ষমতাও হারিয়েছে।

মায়াবতী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, “১৯৩১ এবং স্বাধীনতার পর প্রথমবার জাতি জনগণনার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কৃতিত্ব নিতে গিয়ে কংগ্রেস ভুলে গেছে যে দলিত ও ওবিসি সমাজের কোটি কোটি মানুষকে সংরক্ষণ সহ সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ইতিহাস তাদের।” তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা হারানোর পর কংগ্রেসের�্দলিত ও ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রতি নতুন প্রেম দেখাচ্ছে, যা ভোটের লোভে ‘অবসরবাদী রাজনীতি’ ছাড়া কিছুই নয়। তিনি আরও বলেন, “সংরক্ষণকে নিষ্ক্রিয় করে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করার নোংরা উদ্দেশ্য কে ভুলতে পারে?”

মায়াবতী কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিকেও সমালোচনা করেছেন, বলেন, “সংরক্ষণ ও সংবিধানের জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করতে বিজেপিও কংগ্রেসের থেকে কম নয়। দুই দলই একই মুদ্রার দুই পিঠ।” তবে, জনগণের চাপের মুখে বিজেপি জাতি জনগণনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে, যাকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাবা সাহেব ড. ভীমরাও আম্বেদকরকে ভারতরত্ন প্রদান থেকে ধারা ৩৪০-এর অধীনে ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কংগ্রেস ও বিজেপির জাতিবাদী ও বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব ছিল। “এই দলগুলির ভোটের রাজনীতির খেল অনন্য,” বলে তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

মায়াবতীর এই সমালোচনা জাতি জনগণনার রাজনৈতিক তাৎপর্যকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তাঁর বক্তব্য দলিত ও ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিএসপি-র সমর্থন পুনরুদ্ধারের কৌশল হতে পারে। তবে, এই ইস্যুতে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কৃতিত্বের দৌড় চলছে, যা আগামী নির্বাচনগুলিতে সামাজিক ন্যায়ের বিতর্ককে আরও তীব্র করবে।