ওয়াকফের দাবি মিথ্যা, শিমলার সঞ্জৌলি মসজিদ ভাঙার আদেশ কোর্টের

শিমলা, ৩ মে: হিমাচল প্রদেশের শিমলার উপনগর সঞ্জৌলি মসজিদের ১৫ বছরের পুরোনো জমি বিতর্ক অবশেষে সমাধান হয়েছে। ওয়াকফ বোর্ড এই মসজিদের জমির মালিকানা দাবি করলেও, ১৫ বছরেও তারা কোনো দলিল বা প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। ফলে, তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে কমিশনার কোর্ট প্রথমে মসজিদের উপরের দুটি তলা অবৈধ ঘোষণা করেছিল। শনিবারের শুনানিতে পুরো মসজিদকেই অবৈধ ঘোষণা করে শিমলা নগর নিগমের কমিশনারকে এটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সঞ্জৌলি মসজিদের জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছিল। ওয়াকফ বোর্ড বারবার দাবি করলেও কোনো দলিল বা আইনি প্রমাণ দাখিল করতে ব্যর্থ হয়। শনিবারের শুনানিতে কোর্ট জানায়, মসজিদের নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এটি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (এমসি) আইনের লঙ্ঘন। স্থানীয় বাসিন্দা কমিটির আইনজীবী জগৎপাল বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে উপরের তলা পর্যন্ত পুরো মসজিদ অবৈধ।” তিনি আরও জানান, মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনো এনওসি নেওয়া হয়নি, এমনকি নকশাও অনুমোদিত হয়নি।
এর আগে, ৫ অক্টোবর ২০২৪-এ কোর্ট শুধুমাত্র দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক শুনানিতে প্রমাণিত হয় যে নিচের দুটি তলাও অবৈধভাবে নির্মিত। জগৎপাল বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড ১৫ বছরেও জমির মালিকানার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।” এই রায় স্থানীয়দের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই বিতর্কের সমাধানের অপেক্ষায় ছিল।
এই রায় শিমলার আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর আস্থা জোরদার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ শর্মা বলেন, “এই সিদ্ধান্ত ন্যায়ের জয়। আমরা চাই শহরে আইনের শাসন বজায় থাকুক।” কোর্টের এই নির্দেশের পর নগর নিগম শীঘ্রই মসজিদ ভাঙার কাজ শুরু করবে। তবে, এই রায় স্থানীয়ভাবে সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে বলে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।