ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে আবারও মিসাইল হামলা চালিয়েছে, যার ফলে মধ্য ইসরায়েলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইসরায়েলি সূত্র জানায়, হুতিদের ছোঁড়া একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি বাগানে আঘাত হানে, যাতে একজন ইসরায়েলি নাগরিক সামান্য আহত হন। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা মিসাইলটি আটকানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। হামলার পর বিমানবন্দরে সাইরেন বেজে ওঠে, এবং ফুটেজে দেখা যায়, আতঙ্কিত মানুষ বোম শেল্টারের দিকে ছুটছেন। এই হামলা গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হুতিদের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের অংশ।

ইসরায়েলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও ন্যাশনাল ইউনিটি নেতা বেনি গ্যান্টজ এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, “এটা ইয়েমেন নয়, এটা ইরান। ইরান ইসরায়েলের ওপর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়ছে, এবং তাদের এর দায় নিতে হবে।” তিনি গত বছর জুনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নীতির বিরোধিতা করে সরকার ত্যাগ করেছিলেন। হুতিরা, যারা ইরানের সমর্থনপুষ্ট, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে লাল সাগরে জাহাজ ও ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন না থামলে আমাদের হামলা চলবে।”

এদিকে, আমেরিকা ইসরায়েলের সমর্থনে ইয়েমেনে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ইতিমধ্যে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। তবুও হুতিরা পিছু হটছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা ইরান ও তার মিত্রদের সঙ্গে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ইঙ্গিত দেয়। বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে পুনরাবৃত্ত হামলা এবং আমেরিকার সামরিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে আরও তীব্র করছে। হুতিদের এই আক্রমণ গাজা সংকটের সমাধান ছাড়া আঞ্চলিক শান্তি অধরা থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।