ল্যাবে ‘ব্ল্যাক হোল বোমা’ তৈরি, বিশ্বে আতঙ্ক নাকি বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত?

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে ‘ব্ল্যাক হোল বোমা’ তত্ত্ব প্রমাণ করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এটি কোনো বিস্ফোরক নয়, বরং কৃষ্ণগহ্বরের শক্তি বোঝার একটি পদক্ষেপ। ১৯৭০-এর দশকে বিজ্ঞানী ইয়াকভ জেলডোভিচ ও রজার পেনরোজ প্রস্তাব করেছিলেন, কৃষ্ণগহ্বরের ঘূর্ণন শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে, যা ‘বোমার মতো’ বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। ম্যারিয়ন ক্রম্বের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা প্রথমবার ল্যাবে এটি পরীক্ষা করেছেন। তারা ঘূর্ণায়মান অ্যালুমিনিয়াম সিলিন্ডার ও চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, দ্রুত ঘূর্ণনে শক্তি বাড়ে, ধীর গতিতে কমে।
এই আবিষ্কার কৃষ্ণগহ্বর তত্ত্বের বাস্তব প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিজ্ঞানী ড. ক্রম্ব বলেন, “এটি কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচনে নতুন দ্বার খুলবে।” তবে, এই পরীক্ষা বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়েছে, কারণ ‘বোমা’ শব্দটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষক প্রফেসর রাহুল মেহতা বলেন, “এটি বিজ্ঞানের অগ্রগতি, অস্ত্র নয়। তবে জনমানসে এর নামকরণ উদ্বেগ তৈরি করেছে।”
এই গবেষণা কৃষ্ণগহ্বরের শক্তি উৎপাদন ও মহাজাগতিক ঘটনা বোঝার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। এটি বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেও, জনসাধারণের মধ্যে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।