পাহালগাম হামলার পর পাকিস্তানি সাইবার আক্রমণ, ভারতীয় প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইটে তথ্য চুরি
পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে পাকিস্তানভিত্তিক ‘পাকিস্তান সাইবার ফোর্স’ নামের একটি গোষ্ঠী ভারতীয় প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, এই গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস (এমইএস) এবং মনোহর পারিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস (এমপিআইডিএসএ) থেকে সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়েছে। এছাড়া, আর্মার্ড ভেহিকল নিগম লিমিটেড (এভিএনএল)-এর ওয়েবসাইটে পাকিস্তানের পতাকা ও আল-খালিদ ট্যাঙ্কের ছবি ব্যবহার করে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়। “এই হামলা আমাদের সাইবার নিরাপত্তার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে,” বলেন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। এভিএনএলের ওয়েবসাইটটি অডিটের জন্য অফলাইন করা হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পাহালগাম হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সামরিক সংঘাত কোনো সমাধান নয়।” তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে শান্তির পথে ফিরতে জাতিসংঘের সহায়তার প্রস্তাব দেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার (৫ মে, ২০২৫) ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে গোপন বৈঠক করে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে বলেন, “ভারত যেকোনো মুহূর্তে সীমান্তে সামরিক হামলা চালাতে পারে।” এদিন কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) পাকিস্তানি সেনার গুলিবর্ষণে ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাব দেয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমএইচএ) পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ৭ মে বেসামরিক প্রতিরক্ষার জন্য মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মহড়ায় বিমান হামলার সাইরেন পরীক্ষা, সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রিহার্সাল এবং বেসামরিক নাগরিকদের প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো থাকবে। দিল্লি সরকার মঙ্গলবার (৬ মে) এই মহড়ার প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃবিভাগীয় বৈঠক করতে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ শর্মা বলেন, “এই মহড়া আমাদের নিরাপত্তার জন্য আশ্বাস দেয়, তবে শান্তি ফিরে আসাই সবচেয়ে জরুরি।”