মঙ্গলবার (৬ মে, ২০২৫) সকালে ভারতীয় রুপি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৮ পয়সা পড়ে ৮৪.৩৮-এ লেনদেন করেছে। ডলার সূচকের উত্থান, এশীয় মুদ্রার পতন এবং ভারত-পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়িয়ে চলছেন। আন্তঃব্যাঙ্ক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে রুপি ৮৪.২৮-এ খোলার পর সর্বোচ্চ ৮৪.২৬ এবং সর্বনিম্ন ৮৪.৩৮-এ পৌঁছেছে। সোমবার রুপি ২৪ পয়সা বেড়ে ৮৪.৩০-এ বন্ধ হয়েছিল। “ভারত-পাক উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের মনোবল কমিয়েছে,” বলেন সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজরসের এমডি অমিত পাবারি।

অপরিশোধিত তেলের দাম কমা এবং বিদেশী তহবিলের প্রবাহ রুপিকে কিছুটা সমর্থন দিলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিদেশী চলচ্চিত্রের উপর ১০০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। পাবারি বলেন, “ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত নীতি বাজারে নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝোঁক তৈরি করেছে।” তবে, সম্ভাব্য মার্কিন-ভারত বাণিজ্য চুক্তি এবং ওপেক+-এর টানা দ্বিতীয় মাসে তেল উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য স্বস্তিদায়ক। ওপেক+ ১২টি ওপেক সদস্য এবং ১০টি প্রধান অ-ওপেক তেল রপ্তানিকারক দেশের জোট। এই উন্নয়ন ভারতের মতো তেল আমদানিকারক দেশের জন্য রুপির উপর বাহ্যিক চাপ কমায়।

ডলার সূচক ০.০৩% কমে ৯৯.৭৯-এ লেনদেন করলেও, ব্রেন্ট ক্রুড ১.৫৩% বেড়ে ৬১.১৫ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়েছে। “ইউএসডি/আইএনআর জোড়া অস্থির থাকবে। সমর্থন ৮৩.৭৫-এ, তবে ৮৪.৮০ বা ৮৫.২০ পর্যন্ত উঠতে পারে,” বলেন পাবারি। দেশীয় বাজারে সেনসেক্স ৭৩.৬০ পয়েন্ট (০.০৯%) কমে ৮০,৭২৩.২৪ এবং নিফটি ২০.৫৫ পয়েন্ট (০.০৮%) কমে ২৪,৪৪০.৬০-এ লেনদেন করেছে। সোমবার এফআইআই ৪৯৭.৭৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত ও বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহ রুপির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।