বিজেপির সভাপতি নির্বাচনে দেরি, পাক-ভারত উত্তেজনায় সংগঠনের পরিকল্পনায় প্রভাব

বিজেপির সভাপতি নির্বাচনে দেরি, পাক-ভারত উত্তেজনায় সংগঠনের পরিকল্পনায় প্রভাব

পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নতুন রাষ্ট্রীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। পার্টির সূত্র জানায়, সংগঠন নির্বাচনের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পার্টি হাইকমান্ডের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যে ১৪টি রাজ্যে সংগঠন নির্বাচন সম্পন্ন করেছে, তবে পার্টি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সভাপতি নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ১৮টি রাজ্যে প্রক্রিয়া শেষ হওয়া প্রয়োজন। “পাহালগামের ঘটনা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে,” বলেন পার্টির এক নেতা, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লির মতো রাজ্যগুলোতে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় গত বছর শেষে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, দিল্লিতে এই বছরের শুরুতে, এবং উত্তর প্রদেশে ২০২৭ সালে নির্বাচন হবে। এই রাজ্যগুলোতে সংগঠন নির্বাচন জোরকদমে চলছে। তবে, সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বিধা এবং বাহ্যিক চাপ সত্ত্বেও সংগঠনের কার্যক্রমের গতি অটুট রয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রীয় মহাসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে চারটি জাতীয় প্রচারাভিযানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। “আমাদের সাংগঠনিক কাজ অব্যাহত, বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও,” বলেন বিজেপির এক শীর্ষ নেতা।

বিজেপি গত মাসে প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘গ্রাম চলো, বস্তি চলো’ প্রচারাভিযান শুরু করে, যার মাধ্যমে ২.৫ লক্ষ গ্রামের ৬ লক্ষ বুথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া, বাবা সাহেব আম্বেদকরের জয়ন্তীতে জাতীয় কর্মসূচি, ওয়াকফ সংশোধন আইন এবং ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর জন্য জনসচেতনতা প্রচারাভিযান চলছে। পার্টি সূত্র জানায়, সোমবারের বৈঠকে এই প্রচারাভিযানের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, পাহালগাম হামলার প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলো সাময়িকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেললেও, বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি অক্ষুণ্ণ রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *