পাকিস্তানের পক্ষে তুরস্কের সমর্থনের মাঝে ১৩০০ বিস্ফোরকযুক্ত পেজার জব্দ

পাকিস্তানের পক্ষে তুরস্কের সমর্থনের মাঝে ১৩০০ বিস্ফোরকযুক্ত পেজার জব্দ

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ১৩০০ পেজার ডিভাইস জব্দের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ডিভাইসগুলো লেবাননে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ছিল এবং এতে বিস্ফোরক লুকানো ছিল। তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি (MIT) এই খেপ ইস্তাম্বুলে আটক করেছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাম্প্রতিক অপারেশনের পর এই ঘটনা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। তুরস্ক, যিনি পাকিস্তানের সমর্থনে সরব ছিলেন, এখন নিজেকে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রে দেখছে।

তুরস্কের সংবাদপত্র সাবাহ’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর হংকং থেকে তাইওয়ান হয়ে এই খেপ ইস্তাম্বুলে পৌঁছায়। কাগজপত্রে এগুলোকে ‘ফুড প্রসেসর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু তল্লাশিতে ৮৫০ কেজি ওজনের ৬১টি বাক্সে ১৩০০ পেজার, ৭১০ ডেটোনেটর, ব্যাটারি, ক্যাবল, মিনি ব্লেন্ডার, ক্যামেরা ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের পরীক্ষায় দেখা গেছে, পেজারের ব্যাটারিতে ৩ গ্রাম সাদা রঙের অত্যন্ত দাহ্য বিস্ফোরক লুকানো ছিল, যা সাধারণ এক্স-রে মেশিনে ধরা পড়েনি। এই ব্যাটারিগুলো স্বাভাবিক দেখালেও এর শক্তি সাধারণের এক-তৃতীয়াংশ ছিল, বাকি জায়গায় বিস্ফোরক ভরা ছিল।

মোসাদের ১৭ সেপ্টেম্বরের অপারেশনে লেবানন ও সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর পেজার বিস্ফোরিত হয়েছিল, পরের দিন তাদের ওয়াকি-টকিও বিস্ফোরিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তুরস্কে ধরা এই পেজারগুলো একই নেটওয়ার্কের অংশ ছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান গত ডিসেম্বরে লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিকে এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে, তুরস্কের ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান এবং হিজবুল্লাহর প্রতি সহানুভূতি এখন প্রশ্নের মুখে। এই ঘটনা সন্ত্রাসের জন্য প্রযুক্তির নতুন মাত্রার ব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *