আগামীকাল, ৭ মে ২০২৫, ভারতজুড়ে যুদ্ধের সাইরেন বাজবে। এটি একটি মক ড্রিল, যার মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু এই সাইরেনের প্রতিধ্বনি ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভারতের গৃহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২৪৪ জেলায় এই ড্রিলের প্রস্তুতি চলছে, যা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। “ভারতের এই পদক্ষেপ আমাদের জন্য অপ্রত্যাশিত নয়, কিন্তু এর পেছনের উদ্দেশ্য উদ্বেগজনক,” বলেছেন পাকিস্তানের এক সিনিয়র আইএসআই কর্মকর্তা।

ইসলামাবাদে সোমবার রাতে আইএসআই সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। শাহবাজ শরিফ, আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুম এবং আসিম মুনির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে ভারতের মক ড্রিল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। শাহবাজ শরিফ কথিত আক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মুনির ও আইএসআই প্রধান নীরব থাকেন, যা পাকিস্তানের গোয়েন্দা তথ্যে ভারতের বড় পদক্ষেপের আশঙ্কার ইঙ্গিত দেয়। এই ড্রিল, যা ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর প্রথম, পাকিস্তানের কৌশলগত মহলে উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে।

পাকিস্তানের সংসদেও এই সাইরেনের প্রভাব লক্ষণীয়। মঙ্গলবার ভারত-বিরোধী একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়, কিন্তু অর্ধেকের বেশি সাংসদ উপস্থিত হননি। খালি চেয়ার দেখে সাংসদ ফজলুর রহমান বলেন, “শাহবাজ সরকারের প্রস্তুতি বা গুরুত্বের অভাব চিন্তার বিষয়।” পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে। ভারতের এই ড্রিলকে পাকিস্তান একটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে, যা তাদের নেতৃত্ব ও সংসদে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।