সিন্ধু থেকে সিন্দুর: ভারতের ১৫ পদক্ষেপে পাকিস্তানের জল-অর্থনীতিতে ধাক্কা

সিন্ধু থেকে সিন্দুর: ভারতের ১৫ পদক্ষেপে পাকিস্তানের জল-অর্থনীতিতে ধাক্কা

২২ এপ্রিল পহেলগামে পাকিস্তান-পৃষ্ঠপোষিত সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত ১৫ দিনে ১৫টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলেছে। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত থেকে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সার্জিকাল স্ট্রাইক পর্যন্ত, ভারতের এই কৌশলগুলো পাকিস্তানের জল, অর্থনীতি ও কূটনীতিতে গভীর সংকট তৈরি করেছে। “পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের জন্য মূল্য দিতে হবে,” বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি। পাকিস্তান এখন জাতিসংঘে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও, আন্তর্জাতিক সমর্থনের অভাবে তারা বিচ্ছিন্ন।

সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের ফলে পাকিস্তানের ১৭ কোটি মানুষের জল সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। চেনাব ও ঝেলম নদীর জল নিয়ন্ত্রণ এবং সালাল ও বাগলিয়ার বাঁধ বন্ধ করায় পাকিস্তানের নদী-নালা শুকিয়ে গেছে। মুজাফফরাবাদে ঝেলমের জল ছাড়ায় বন্যা হয়েছে, যা পাকিস্তান ‘জল হামলা’ বলে অভিহিত করেছে। ভারত পাকিস্তানের আমদানি, জাহাজ প্রবেশ, ডাক পরিষেবা এবং সামরিক উপদেষ্টাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ ধারাবাহিকভাবে পড়েছে। “জল আমাদের জীবন। এটি বন্ধ হলে আমরা মরব,” বলেছেন পাঞ্জাবের কৃষক আলি হায়দার দোগার।

কূটনৈতিকভাবে, ভারত পাকিস্তানকে বিশ্ব মঞ্চে একঘরে করেছে। জাতিসংঘের ৫ মে’র বৈঠকে পাকিস্তান সমর্থন পায়নি; এমনকি মুসলিম দেশগুলো, যেমন সৌদি আরব, পহেলগাম হামলার নিন্দা করেছে। ভারত নয়াদিল্লিতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ তুলে ধরেছে। অপারেশন সিন্দুরে ১০০-র বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, যা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এই পদক্ষেপগুলো ভারতের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন, তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এটি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *