পাকিস্তানে হামলার আগে-পরে মোদীর গোপন বৈঠক, ডোভালের সঙ্গে কৌশল

২২ এপ্রিল পহেলগামে ২৬ জন নিরীহ নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করে ১০০-র বেশি সন্ত্রাসীকে নিহত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানের নামকরণ ও পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়। পহেলগাম হামলার পর থেকে মোদী ক্রোধ ও সংকল্পের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়ে আসছিলেন। এনডিটিভি সূত্রে জানা গেছে, মোদী অভিযানের প্রতিটি পদক্ষেপ সরাসরি তদারকি করেছেন।
হামলার ঠিক আগে, ৬ মে রাতে, মোদী দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ৪০ মিনিটের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এটি ছিল অপারেশন সিন্দুরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যালোচনার শেষ বৈঠক। ডোভাল, যিনি ২০১৯ সালের বালাকোট হামলার পরিকল্পনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, এবারও কৌশল প্রণয়নে নেতৃত্ব দেন। হামলার পর ৭ মে সকালে মোদীর প্রথম বৈঠকটিও ডোভালের সঙ্গেই হয়, যেখানে অভিযানের ফলাফল ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। “আমাদের প্রতিক্রিয়া নির্ভুল ও সংযত ছিল,” বলেছেন এক সরকারি সূত্র।
পহেলগাম হামলার পর মোদী একাধিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। ৪ মে তিনি বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আমর প্রীত সিং, ৩ মে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠি এবং ৫ মে প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া, ২৯ এপ্রিল তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে সেনাবাহিনীকে “পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দেন। হামলার পর ডোভাল মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত করেন, কোনো পাকিস্তানি বেসামরিক বা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়নি। এই বৈঠকগুলো ভারতের কঠোর ও পরিকল্পিত প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়।