রাহুলের প্রশংসা-ওভাইসির কড়া বার্তা, তেজস্বীর ঐক্যের ডাক: অপারেশন সিন্দুরে নেতাদের প্রতিক্রিয়া

রাহুলের প্রশংসা-ওভাইসির কড়া বার্তা, তেজস্বীর ঐক্যের ডাক: অপারেশন সিন্দুরে নেতাদের প্রতিক্রিয়া

৬ মে মধ্যরাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করে ১০০-র বেশি সন্ত্রাসীকে নিহত করেছে। পহেলগাম হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই নির্ভুল সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা সেনার প্রশংসা করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। এই অভিযান ভারতের শূন্য সহনশীলতার নীতির প্রতিফলন, যা রাজনৈতিক মতভেদের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছে।

বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি গর্বিত। জয় হিন্দ!” তাঁর এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু জোরালো বক্তব্য সেনার সাহস ও প্রতিশ্রুতির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে। এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওভাইসি পাকিস্তানের ‘ডিপ স্টেট’-এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বলেছেন, “আতঙ্কবাদী ঘাঁটিগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করতে হবে, যাতে আর কোনো পহেলগাম না ঘটে।” তিনি সেনার এই লক্ষ্যভেদী হামলার স্বাগত জানিয়েছেন। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব জাতীয় ঐক্যের উপর জোর দিয়ে বলেছেন, “আমরা শান্তিপ্রিয়, কিন্তু আমাদের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হলে মুখোশহীন জবাব দিতে জানি। ১৪০ কোটি ভারতবাসী সেনার সঙ্গে একাত্ম।”

কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত অপারেশনটিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন সুখবর আর কী হতে পারে? তিন বাহিনী—স্থল, নৌ ও বিমান—কে অভিনন্দন। আমরা সবসময় বলে এসেছি, সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করতে হবে।” তাঁর বক্তব্যে সেনার কার্যকরী পদক্ষেপের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রতিক্রিয়াগুলো ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। তবে, পাকিস্তানের পাল্টা হুমকি ও সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *