যুদ্ধের পরিস্থিতির আশঙ্কায় প্রস্তুতি, ৩ মাস টিকবে এমন ১০ খাদ্য স্টোর করুন

পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল বিমান হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে। এর ফলে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার জন্য ঘরে এমন খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করা উচিত, যা তিন মাস পর্যন্ত টিকে থাকে। এই প্রতিবেদনে আমরা ১০টি এমন খাদ্য সামগ্রীর তালিকা দিচ্ছি, যা সংকটকালে জীবন রক্ষাকারী হতে পারে।
প্রথমে শহদ, যা কম জলের পরিমাণের কারণে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে এবং বছরের পর বছর টিকে থাকে। চিনি ও নুনও তিন মাস সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত, তবে এগুলো আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে। কফি, শুকনো দাল ও চালও দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের জন্য আদর্শ। দাল ও চাল সংরক্ষণের সময় ধুয়ে শুকিয়ে এয়ারটাইট পাত্রে রাখুন; চালের ক্ষেত্রে নিমপাতা বা লবঙ্গ ব্যবহার শেল্ফ লাইফ বাড়ায়। শুকনো ফল, ডার্ক চকোলেট, দুধের গুঁড়ো ও আচারও তিন থেকে চার মাস টিকে থাকে। আচারের নুন ও তেল প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
এই খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণের সময় শুকনো, ঠান্ডা ও বায়ুরোধী পাত্রে রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “সংকটের সময় খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই তালিকা পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করবে।” পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে স্কুল বন্ধ ও পলায়নের খবরের মধ্যে এই প্রস্তুতি সাধারণ মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস জাগাতে পারে। সরকারও জরুরি সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে।