ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং জায়ান্ট পেটিএম ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অসাধারণ পুনরুত্থানের গল্প লিখেছে। কো ম্পা নি জানিয়েছে, এই ৯০ দিনে তাদের অপারেটিং রাজস্ব ৫ শতাংশ বেড়ে ১,৯১১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই সময়ে পেটিএমের শুদ্ধ মুনাফা (PAT) ২৩ কোটি টাকা এবং কর পূর্বের মুনাফা (EBITDA) ৫১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা আগের ত্রৈমাসিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ১১ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি। পেটিএমের নগদ মজুতও বেড়ে ১২,৮০৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা কো ম্পা নির আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতীক।

পেটিএমের সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাদের কৌশলগত পুনর্গঠন। কো ম্পা নির প্রধান নির্বাহী বিজয় শেখর শর্মা বলেন, “আমরা পেমেন্ট ও আর্থিক পরিষেবায় মনোযোগ দিয়েছি এবং অ-মূল ব্যবসাগুলো পুনর্গঠন বা বন্ধ করেছি।” এই কৌশল মার্জিন ও অবদান মুনাফার উন্নতিতে সহায়ক হয়েছে। পেটিএম জানুয়ারিতে জোম্যাটোর কাছে তাদের টিকিটিং ব্যবসা ২,০১৪ কোটি টাকায় বিক্রি করে, যা তাদের নগদ মজুত বাড়িয়েছে। এছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে কর্মচারী খরচ ২৩ শতাংশ কমানো হয়েছে, যা দক্ষতা বাড়িয়েছে।

ব্যবহারকারী ভিত্তিতেও পেটিএম শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেছে। ত্রৈমাসিকে গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালু (GMV) ৫.১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী (MTU) ৭.২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে, এবং পেমেন্ট ডিভাইসের সংখ্যা ৮ লক্ষ বেড়ে ১.২৪ কোটিতে পৌঁছেছে। পেটিএমের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা নতুন UPI ব্যবহারকারী যোগ করার অনুমতি পেয়েছি, যা আমাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।”

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রেক্ষাপটে পেটিএমের এই আর্থিক পুনরুত্থান দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির শক্তি প্রদর্শন করে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, পেটিএমের কৌশলগত পদক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রক সমর্থন তাদের দীর্ঘমেয়াদি লাভজনকতার পথ প্রশস্ত করছে।