ভারতীয় সেনার হামলায় পাক সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস, প্রকাশিত কোটলির লাইভ ভিডিও

নয়াদিল্লি, ৭ মে: ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) ৯টি স্থানে ২১টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। ৭ মে মধ্যরাত ১:০৫ থেকে ১:৩০ পর্যন্ত মাত্র ২৫ মিনিটের এই অভিযানে প্রায় ১০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মুজাফফরাবাদ, সিয়ালকোট, কোটলিতে দুটি করে এবং মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর ও ভিম্বরে একটি করে ঘাঁটি লক্ষ্য করা হয়। এই হামলা ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়। ভারতীয় সেনা কোটলির আব্বাস ও গুলপুর ক্যাম্প ধ্বংসের লাইভ ভিডিও প্রকাশ করেছে।
কোটলির আব্বাস ক্যাম্প, লাইন অফ কন্ট্রোল থেকে ১৩ কিমি দূরে, লশ্কর-ই-তৈয়বার আত্মঘাতী হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। রাত ১:০৪-এ এই ক্যাম্প সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়, যেখানে ৫০-এর বেশি সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ নিত। গুলপুর ক্যাম্প, এলওসি থেকে ৩০ কিমি দূরে, লশ্করের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, যেখান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী পাঠানো হতো। রাত ১:০৮-এ এটিও ধূলিসাৎ হয়। ভিডিওতে ধ্বংসের দৃশ্য স্পষ্ট, যা সেনার নির্ভুলতা তুলে ধরে। সেনার মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “অপারেশন সিন্দুর সন্ত্রাসীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অভিযানকে “জাতির গর্বের মুহূর্ত” আখ্যা দিয়ে সেনার প্রশংসা করেছেন। ক্যাবিনেট বৈঠকে তিনি বলেন, “এই হামলা পহেলগাঁও শহিদদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই অভিযান ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করলেও, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া উত্তেজনা বাড়াতে পারে। পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যদিও ভারত জোর দিয়েছে যে শুধু সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য ছিল। এই অভিযান ভারতের সামরিক শক্তি ও কৌশলগত প্রস্তুতির প্রমাণ দিয়েছে।