যুদ্ধকালীন মেডিকেল জরুরি অবস্থা: হাসপাতাল থেকে সাধারণ মানুষ, কীভাবে ভোগে পরিণতি

নয়াদিল্লি, ৭ মে: যুদ্ধ শুধু সীমান্তে লড়াই নয়, এটি সমগ্র দেশের জনজীবনে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এই অবস্থাকে বলা হয় মেডিকেল জরুরি অবস্থা। হাসপাতালে বোমাবর্ষণ, চিকিৎসক-নার্সের অভাব, ওষুধ, অক্সিজেন বা অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামের ঘাটতি এই সংকটকে আরও গভীর করে। ফলে যুদ্ধে আহত সৈনিকদের পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “যুদ্ধকালীন মেডিকেল সংকটে ৬০% রোগী সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় মারা যায়।”
হাসপাতালগুলো যুদ্ধে প্রায়ই লক্ষ্যবস্তু হয়, যা চিকিৎসা আসাম্ভব করে তোলে। বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে অস্ত্রোপচার ও আইসিইউ পরিষেবা স্থগিত হয়। গর্ভবতী নারী, কিডনি রোগী বা ক্যানসার আক্রান্তরা চিকিৎসা না পেয়ে জীবন সংগ্রামে পড়েন। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ হয়ে আহতরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না। ডা. রাহুল মেহতা, একজন সার্জন, বলেন, “যুদ্ধে হাসপাতালের ধ্বংস ধ্বংসের মতো, রোগীদের বাঁচানোর কোনো উপায় থাকে না।” ক্লিনিক ও ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ ছোটখাটো চিকিৎসার জন্যও হন্যে হয়ে ঘোরেন।
সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। নিরাপদ স্থানে পালানোর সময় চিকিৎসা সুবিধার অভাবে গুরুতর রোগীরা মারা যান। চিকিৎসক ও নার্সরা প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও ভয়ের মধ্যেও দায়িত্ব পালন করেন, কিন্তু ওষুধ ও সরঞ্জামের অভাবে তাদের হাত বাঁধা থাকে। আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন রেড ক্রস বা ডব্লিউএইচও সাহায্যের চেষ্টা করে, কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের পৌঁছানো কঠিন। এই মেডিকেল সংকট মানবিক বিপর্যয় তৈরি করে, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে মানুষকে ভেঙে দেয়।