অপারেশন সিন্দুর: পাক সীমানা না পেরিয়ে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস, ভারতের গোপন কৌশল

অপারেশন সিন্দুর: পাক সীমানা না পেরিয়ে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস, ভারতের গোপন কৌশল

নয়াদিল্লি, ৭ মে: ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, এলওসি পার না করে। ৭ মে মধ্যরাত ১:০০ থেকে ১:৩০ পর্যন্ত এই নিখুঁত হামলায় জৈশ-ই-মহম্মদ ও লশ্কর-ই-তৈয়বার ৭০-১০০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। পাকিস্তানের মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর ও পিওকে-র ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ভারতীয় বিমান বাহিনী স্মার্ট অস্ত্র, ওয়ারমেট লয়টারিং ড্রোন, এম৭৭৭ হাউইৎজার, রাফালের স্ক্যাল্প ও হ্যামার মিসাইল ব্যবহার করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৪৫ মিনিটের বৈঠকে ‘সিন্দুর’ নাম চূড়ান্ত হয়। সেনা মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ সিং বলেন, “এই অভিযান পাকিস্তানকে হতবাক করেছে, তাদের কামান ২০-২৫ মিনিট পরে সাড়া দিয়েছে।”

২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। মুরিদকে লশ্করের সদর দপ্তরে চারবার এবং বাহাওয়ালপুরে জৈশের হেডকোয়ার্টারে হামলা হয়। মুরিদকে ১৯৯০ সাল থেকে লশ্করের গড়, যেখানে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা হতো। ভারত জিপিএস-নিয়ন্ত্রিত, ক্যামেরা-সজ্জিত স্মার্ট গোলাবারুদ ও লাইভ মনিটরিং ব্যবহার করে পাক সেনার ৩১তম কোরের কাছাকাছি বাহাওয়ালপুরে হামলা চালায়। পাকিস্তান অপ্রস্তুত থাকায় তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়নি। তবে, হামলার পর পাকিস্তান সিজফায়ার ভেঙে পুঞ্ছ জেলায় গোলাবর্ষণ করে, যাতে ১৩ জন নাগরিক নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়।

এই অভিযানে কোনো ভারতীয় সেনা হতাহত হয়নি, যা ভারতের কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “অপারেশন সিন্দুর ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী দৃঢ়তার প্রতীক।” বিশ্লেষকরা মনে করেন, ১৯৭১-এর পর এটি পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সবচেয়ে বড় মিসাইল হামলা। তবে, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। অভিযান চলমান থাকায় ভারত হাই অ্যালার্টে রয়েছে। এই হামলা ভারতের উন্নত প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সফলতা প্রদর্শন করেছে, যা পাকিস্তানকে কৌশলগতভাবে অপ্রস্তুত রেখেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *