শ্রীনগর, ৭ মে: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল ২০২৫-এ সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তদন্তে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) জনগণের সহায়তা কামনা করেছে। এই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এনআইএ পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের কাছে হামলা সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য, ছবি বা ভিডিও শেয়ার করার আবেদন জানিয়েছে। এজেন্সি যোগাযোগের জন্য দুটি নম্বর প্রকাশ করেছে: মোবাইল নম্বর ৯৬৫৪৯৫৮৮১৬ এবং ল্যান্ডলাইন ০১১-২৪৩৬৮৮০০।
এনআইএ ইতিমধ্যে হামলার বিভিন্ন দিক উন্মোচনকারী বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেছে এবং সেগুলোর বিশ্লেষণ চালাচ্ছে। বুধবার (৭ মে) এজেন্সি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই জঘন্য অপরাধের তদন্তে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা সাক্ষ্য যাতে বাদ না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা আরও তীব্র করেছি।” এনআইএ আহ্বান জানিয়েছে, যারা তথ্য শেয়ার করতে চান, তারা উল্লিখিত নম্বরে ফোন করে তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ এবং তথ্যের ধরন জানান। পরবর্তীতে এনআইএ-র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

তদন্তের অংশ হিসেবে, এনআইএ-র দলগুলো পহেলগাঁওয়ের বাইসারান উপত্যকায় হামলার স্থানে অবস্থান করে সাক্ষ্য সংগ্রহ করছে। তারা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার ক্রম পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। এজেন্সি জানিয়েছে, “আমরা প্রতিটি সম্ভাব্য সূত্র খতিয়ে দেখছি। পর্যটক বা অন্যরা অজান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ছবি বা ভিডিও ধরে থাকতে পারেন, যা হামলার ষড়যন্ত্র উন্মোচনে সহায়ক হবে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোর মধ্যে কিছুতে হামলার সময়ের দৃশ্য ধরা পড়েছে, যেগুলো এনআইএ বিশদভাবে পরীক্ষা করছে।

এনআইএ-র মুখপাত্র বলেন, “এই হামলা জাতিকে হতবাক করেছে। আমরা জনগণের সহযোগিতায় এর পিছনের সত্য উদঘাটন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তদন্তে পাকিস্তান-সমর্থিত লস্কর-ই-তৈয়বার প্রক্সি গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) হাত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, জনগণের দেওয়া তথ্য তদন্তকে নতুন দিশা দিতে পারে। এনআইএ আশা করছে, এই আবেদনের মাধ্যমে আরও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।