এরদোগানের কুকুর-সংকট! তুরস্কের নতুন আইন জনতাকে দ্বিধায়

এরদোগানের কুকুর-সংকট! তুরস্কের নতুন আইন জনতাকে দ্বিধায়

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় থাকলেও, দেশের অভ্যন্তরে তিনি বেওয়ারিশ কুকুরের সংকটে জর্জরিত। প্রায় ৪০ লাখ পথকুকুরের ক্রমবর্ধমান সমস্যা এখন তুরস্কে একটি জাতীয় রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ২ আগস্ট থেকে কার্যকর ‘প্রাণী সুরক্ষা আইন নং ৭৫২৭’ পথকুকুর ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা এবং আক্রমণাত্মক বা রোগাক্রান্ত কুকুরকে হত্যার অনুমতি দেয়। কোনিয়ায় এক শিশুর মৃত্যু এবং আদানা ও এরজুরুমে বয়স্কদের উপর আক্রমণের মতো ঘটনা জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সরকার এই আইনকে জননিরাপত্তার জন্য জরুরি বললেও, সমালোচকরা দাবি করছেন, অপর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র ও তহবিলের অভাবে এটি গণহত্যার দিকে নিয়ে যাবে।

এই আইন তুরস্কে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করেছে। এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একে পার্টি) ও তার মিত্ররা আইনের পক্ষে থাকলেও, বিরোধী সিএইচপি এটিকে ‘গণহত্যার আইন’ বলে সাংবিধানিক আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে, যদিও আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে। মেট্রোপোল জরিপে দেখা গেছে, ৭৮% মানুষ কুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার পক্ষে, কিন্তু প্রাণী অধিকার কর্মীরা জীবাণুমুক্তকরণ ও টিকাকরণের মতো মানবিক সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রের দুরবস্থা এবং নির্মম হত্যার অভিযোগে জনরোষ বাড়ছে। এই সংকট এরদোগানের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা তুরস্কের সামাজিক ও রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে পুনর্নির্মাণ করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *