অবৈধ নির্মাণ কেলেঙ্কারিতে ইডির হানা, ভিভিএমসি আধিকারিকের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ ও গহনা জব্দ

প্রবর্তন নিদেশালয় (ইডি) বৃহস্পতিবার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদে ১৩টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে প্রায় ৯.০৪ কোটি টাকা নগদ, ২৩.২৫ কোটি টাকার হীরে-জড়ানো গহনা ও সোনা, সহ প্রচুর পরিমাণে অপরাধমূলক নথি জব্দ করা হয়েছে। ইডির মুম্বাই জোনাল অফিস-II মীরা ভায়ান্দর পুলিশ কমিশনারেটের দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। এই মামলা ২০০৯ সাল থেকে বসাই-বিরার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (ভিভিএমসি)-এর এখতিয়ারে সরকারি ও ব্যক্তিগত জমিতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিযোগ, নির্মাতারা অবৈধ ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা
বসাই-বিরার অনুমোদিত উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিওয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য সংরক্ষিত জমিতে সময়ে সময়ে ৪১টি অবৈধ ভবন নির্মিত হয়েছে। অভিযুক্ত নির্মাতা ও ডেভেলপাররা এই জমিতে অবৈধ ভবন তৈরি করে এবং জাল অনুমোদন নথি তৈরি করে জনগণকে প্রতারণা করেছে। তারা জানত যে এই ভবনগুলো অবৈধ এবং ভেঙে ফেলা হবে। এই ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি করে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। বোম্বে হাইকোর্ট ০৮.০৭.২০২৪ তারিখে এক আদেশে ৪১টি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। এরপর, এই ভবনের বাসিন্দারা সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দায়ের করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে, ০২.০২.২০২৫ তারিখে ভিভিএমসি ৪১টি ভবন ভেঙে ফেলার কাজ সম্পন্ন করে।
ভিভিএমসি উপ-নিদেশকের বাড়িতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ
ইডির তদন্তে জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে এই এলাকায় বড়ো মাপের অবৈধ নির্মাণ চলছে। তদন্তে দেখা গেছে, সীতারাম গুপ্ত, অরুণ গুপ্ত সহ অন্যরা এই বৃহৎ কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত। ভিভিএমসি’র বিভিন্ন আধিকারিকের সহযোগিতায় এই অবৈধ ভবন নির্মিত হয়েছে। ভিভিএমসি’র টাউন প্ল্যানিংয়ের উপ-নিদেশক ওয়াই. এস. রেড্ডির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৮.৬ কোটি টাকা নগদ এবং ২৩.২৫ কোটি টাকার হীরে-জড়ানো গহনা ও সোনা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন অপরাধমূলক নথি উদ্ধার করা হয়েছে, যা ভিভিএমসি আধিকারিকদের সঙ্গে জড়িত বসাই-বিরারে অবৈধ নির্মাণ কেলেঙ্কারিকে উন্মোচিত করে।